Posts

একটি এপলিটিকাল ব্রেকিং নিউজ

Image
(এর ওপেনিং সং হিসেবে ব্যাকগ্রাউন্ডে পুরন্দর ভাটের লেখা 'গাঁড় ভেঙে দাও' গানের ইন্সট্রুমেন্টাল ফর্ম বাজবে) স্থান: ভারতবর্ষের কোনো এক অখ্যাত জায়গার খাবার টেবিল সময়: সন্ধ্যেবেলা, ঠিকঠাক সময় এখনো জানা যায়নি। প্রচুর মদ, সবরকম মাংস ও প্রচুর সুখাদ্যের আয়োজন আছে শুনে মদন, পুরন্দর এবং ডি এস উড়তে উড়তে এসে নেমেছিল ওখানে। আনঅফিশিয়ালি বলা যায়, জায়গাটা ছিল সুমিত ঘোষের বেলঘড়িয়ার ফ্ল্যাট। সে যাইহোক, ওরা এসে দেখে, সমস্ত সুখাদ্য এবং মদের বোতল জীবন্ত হয়ে উঠেছে এবং একে অন্যের সাথে বার্তালাপে মগ্ন। মদনের জবানীতে, 'আমরা যখন এসে পৌঁছাই, আমরা অল্প চরস মেরেই এসেছিলাম। বুঝলেন কিনা, ফ্যাতারু হলে সবই চলে, লাশ উঠাবে, লাশ নামাবে এরকম সবকিছুই আরকি। সমস্যাটা হল, আমরা যখন নামলাম, তখন দেখলাম, সমস্ত আইটেমের আলুরা একজোট, পেঁয়াজরা একজোট, মাছের টুকরোরা একজোট, যেন উনিশের ভোটের মহা জোটবন্ধন হয়েছে এখানে!' মদের বোতল সম্পর্কে ডিএসের বক্তব্য, তারা নাকি নকল স্তন লাগিয়ে অসভ্য কাজ করছিল, ডি এসের এই বক্তব্য ভেরিফাই করা সম্ভব হয়নি। ডি এস এবং মদন উভয়েই ভীষণ হ্যাল খাচ্ছিল, ওরা উড়তে পারছিল না। আমাদের স্পেশাল করেসপন

পুষ্পবর্ষণ

Image
এসফল্ট রাজপথে হেঁটে যেতে যেতে চমকাতে হয়- আচমকা কিছু বোমারু বিমান পুষ্পবর্ষণ করে নুনজলে ভেজা ফুলে গোটা রাস্তা একাকার গোটা গ্রাম, ক্ষেত আর নদী ভরে গেছে নোনতা ফুলে ফুলের ঘায়ে আহত কিছু নির্দোষ পথিক তাদের আঙ্গুলে রক্ত, গোলাপকাঁটার ক্ষত তাদের স্ট্রেচারে চাপিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে হাসপাতালে তাদের চোখে এখনো কিছু অন্যরকম ভয় এখনো আকাশে বোমারু বিমানের ছড়াছড়ি এখনো সাধারণ মানুষ কুঁকড়ে থাকে ভয়ে নোনতা ফুলের থেকে ভয়ানক কিছু নেই যদি সেই নুন চোখের জলের হয় ঋ।

খাদ্যাবশেষ

Image
জলজ আমার দেহে অনাঘ্রাত জ্যোৎস্না আমার শৈবালদামে প্রতিফলিত হচ্ছে প্রেম, আর তখনই ক্ষুধার্ত বোটের প্রপেলারে জড়ানো পৃথিবী আর পৃথিবীর শেষ সঞ্জীবনী লতার ঝাঁক- নিষ্পেষিত তাদের রস, মাছগুলোকেও পাগল করে... স্বচ্ছ জলের নীচে আড়াল পাবে না, খুঁজে লাভ নেই নীচে, পাথুরে দেওয়াল, তাতে খচিত অপাঠযোগ্য লিখন দুটি সিগারেটের প্যাকেট, একটি নগ্ন, তন্বী নারীদেহ সুস্বাদু ভোজনের উচ্ছিষ্ট হিসেবে পড়ে আছে ওই মানবজাতির শেষ পুরুষের মরণের প্রাক্কালে ওই মাছগুলো একে একে, চুমু দিয়ে গেছে তার কপালে। ঋ।

শব্দ, স্পর্শ, গন্ধ

Image
দারুচিনি দ্বীপ কেউ ছুঁতে পারেনি কখনো ঘোরতর মায়ায় লুকোনো ঘন কালো মেঘ তাকে ঢেকে রাখে কুয়াশার ভালোবাসা তাকে আঁচলে ঢাকে পাথুরে হৃদয় তার, আদরে শুকোনো পাংশু হৃদয়ে লড়ে দুটি আলাদা মানুষ অস্ত্রবিহীন, রাজকীয়, রক্তপাত বুকের ভিতর দারুচিনি ফ্লেভারে মাখা প্রেমের শিকড় নখরে ফাটাবে তার আদুরে ফানুষ ঝুপঝুপে বৃষ্টি শেষে সোঁদা গন্ধ বাতাসে একাকিত্ব শেষে পথ্য উগ্র ভালোবাসা মূক মুখে ফটাফট আদুরে ভাষা; দারুচিনি গন্ধ ছড়ানো আজ সারা আকাশে ঋ।

খিস্তিচরিত-তৃতীয় কিস্তি

Image
একজন বাঙ্গালির রক্তের যদি আমরা বিশ্লেষণ করি, আমরা প্লাজমা, রক্তকণিকা  ও অন্যান্য বায়োলজিক্যাল ও কেমিক্যাল পদার্থ ছাড়াও আরও যে সমস্ত জিনিস দেখতে পাবো, সেগুলো হল, ফুটবল, মোহন-ইস্ট ও ঘটি-বাঙ্গাল কাজিয়া, ল্যাধ, মাছ, ফুচকা, আড্ডা ইত্যাদি। ও হ্যাঁ, আর একটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জিনিস বাদ গেল, সেটা হল খিস্তি। একজন বাঙালি মোটামুটি ভাবে জন্মের আগে থেকেই খিস্তি জানে। মনে করা হয় যে বাঙ্গালিদের ২১ নং ক্রোমোজোমের এক অংশে এই খিস্তির জন্য জিন বিদ্যমান (এ ব্যাপারে রিসার্চ চলছে, সঠিকভাবে জানা যায়নি কিছু, আরও তথ্যের জন্য এ ব্যাপারে বিশেষ কয়েকজন বৈজ্ঞানিক এর সঙ্গে যোগাযোগ করলে ভালো হয়, আমায় ফেসবুকে মেসেজ করলে আমি তাঁদের হদিস দেব)। যদিও, পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, আমাদের মত বাঙালি মধ্যবিত্ত পরিবারের ক্ষেত্রে, এই বাংলা খিস্তির জিনটি কর্মক্ষম হয় একজন বাঙালি বাচ্চা কথা বলতে শেখার কয়েক সপ্তাহ থেকে কয়েক মাসের মধ্যেই। তারপর, বাবা মা-র পিটুনির ভয়ে ধীরে ধীরে কমে আসে, তারপর আবার দেহে চুলের পরিমাণ বৃদ্ধির সাথে সাথে খিস্তি ব্যবহারের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়, ও অবশেষে সম্পৃক্ত হয়ে যায়। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, চুল এর হিন্দি প্রতিশব্দ

খিস্তিচরিত-দ্বিতীয় কিস্তি

Image
“মিলে স্ল্যাং মেরা তুমহারা, তো গ্যাং বনে হামারা” “... হেথায় আর্য, হেথা অনার্য, হেথায় দ্রাবিড় চীন- শক-হুন-দল পাঠান-মোগল খিস্তিতে হল লীন”~ যেকোনো ভাষাতেই স্ল্যাং সেই ভাষার অমুল্য সম্পদ। প্রকৃতপক্ষে, ইংরিজি কথা স্ল্যাং এর অর্থ ঠিক খিস্তি না। স্ল্যাং তুলনামুলকভাবে আরও বড় একটি সেট, খিস্তি কে যার সাবসেট বলা চলে। স্ল্যাং আসলে, কোন ভাষা ব্যবহারকারী মানুষজনের মধ্যে একটি বিশেষ কোন সম্প্রদায়ের কথ্য ভাষা,যেখানে তাঁদের নিজস্ব কিছু custom শব্দ তাঁরা যোগ করেন। যেমন, আমরা বন্ধুরা নিজেদের মধ্যে কথা বলার সময়ে প্রায় সর্বদাই “বাওয়াল”, “বিলা” ইত্যাদি শব্দ ব্যবহার করি, এগুলো ঠিক বাংলা চলিতভাষা না, এগুলো ঐ স্ল্যাং সেট এর মধ্যে পড়ে, অথচ এগুলো খিস্তি ও না। বাংলা খিস্তির নিজস্ব ক্ষমতা, নিজস্ব মাধুর্য রয়েছে।প্রলেতারিয়েত থেকে বুর্জোয়া, অশিক্ষিত রিকশওয়ালা থেকে উচ্চশিক্ষিত প্রফেসর-খিস্তিই এমন এক জায়গা যেখানে সবাই সমান। হ্যাঁ,পার্থক্য যেটুকু থাকে, সেটুকু বাচনভঙ্গিমা ও ডায়ালেক্ট এর, আর অনেক ক্ষেত্রে অর্থের সামান্য প্রকারভেদ লক্ষ্য করা যায়। অবশ্য অর্থের পার্থক্যটুকু ব্যবহারের উপরেও নির্ভরশীল। যাক সে সব কথা

A Honeylicious Love Letter

Image
Dear Honeycomb, Long long ago,when we even didn't know about the definition of friendship or the journey of our life, our friendship started. Our friendship continued throughout our school life. It kept going on with its own special rhythm and flavours. Not all the flavours it contains are of happy shades. Some are bitter,and full of misunderstandings and tears. But, those are parts of the lives you and I lived. Those are parts of the life, WE lived. We grew up in the same place,and went to the same school and same tuition together till our 12th. Such a long time, you know what, while we lived our lives, we started to imprint on each other, or at least, I can say that you started to leave a great impression on me. It's not that because you are so handsome, good looking . Yeah ofcourse your looks mattered to me but the thing that mattered most was how you are as a person. You were,and in fact you are still now, one of those very few persons whom I adore,whom I trust,

জ্বর

Image
আমার থেকে বহুদূরে,তোমার চোখে,বৃষ্টি হয়ে ঝরি আমি শুকনো থেকেও জ্বরে ভুগি, আমি ক্রনিক রুগী তোমার চোখে ঘাঁটা কাজল, আমার না গোছানো ঘর, তোমার দারুণ ঠান্ডা হাত, আমার ভীষণ জ্বর.. সন্ধ্যেবেলা, খালিপেট, পথ্য মাছের ঝোল আমার কপালে তোমার হাত, জলপট্টির দোল আমার ভীষণ মনখারাপ, তোমার আঁধার ঘর তোমার দারুণ ঠান্ডা হাত, আমার ভীষণ জ্বর.. আমার ঘরটা অগোছালো, ছড়িয়ে থাকা বই তোমার রুমাল হারিয়ে গেলে, দোষটা আমার কই? আমার বুকে হাতটা তোমার, দারুণ ঠান্ডা হাত তোমার আরামে কাটতে পারে এই জ্বরের রাত... তোমার চোখের ঘাঁটা কাজল, আমার অগোছালো ঘর তোমার দারুণ ঠাণ্ডা হাত, আমার বড্ড জ্বর...

খিস্তিচরিত-চার কিস্তিতে

Image
 আজ একটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তথা গুরুগম্ভীর বিষয় নিয়ে লিখব,তা হল বাংলা খিস্তি। যেকোনো ভাষাতেই,খিস্তি এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সাধারণ মানুষের মনের ভাব প্রকাশ করার অন্যতম মাধ্যম এই খিস্তি। কিন্তু,আজ, বাংলা খিস্তি খাদের মুখে এসে দাঁড়িয়েছে।এর মূল কারণ হিসেবে, বলা যায়, প্রথমত আমরা খুব বেশি ভাবে পশ্চিমি সংস্কৃতি কে অনুকরণ করি। ইংরিজি সিনিমা দেখি,আর সেখানে ব্যবহৃত ফাক ইত্যাদি দারুন ফাট নিয়ে বলি, আর দ্বিতীয় মূল কারণ, সময়ের অভাবে। বাংলা খিস্তি একটি শিল্প, খুবই ডেলিকেট, একটু সময় নিয়ে বলতে হয়। যেমন, দুর্শালা গাঁড় মেরেছে বলতে যা সময় লাগে, ফাক বললে অর্থ মোটামুটিভাবে একই, কিন্তু অনেক কম সময়ের মধ্যে কাজ মেটে। এভাবে, ধীরে ধীরে, বাংলাভাষার এক অমূল্য সম্পদ বর্তমানে বিলুপ্তির পথে এগিয়ে যাচ্ছে। তাই, এই সম্পদ কে বাঁচিয়ে রাখতে ও মুলস্রোতে ফিরিয়ে আনতে, আমাদের এই বিষয়ে সচেতন করে তোলার উদ্দেশ্যে, আমার এই প্রচেষ্টা,"খিস্তিচরিত- চার কিস্তিতে"। আজ,প্রথম কিস্তি। আমি মূলত চারটি বহুল প্রচলিত খিস্তি নিয়ে আলোচনা করে বিষয়টি উপস্থাপিত করার চেষ্টা করছি। প্রথম যে খিস্তি নিয়ে বলব, সেটি খুব নরম,দুধভ

অর্থহীন

Image
যদি পারো গিটারের তারে বেঁধে অনেক সুর পাশাপাশি হেঁটে হেঁটে অনেক দূর আর আমার হাতের ওমে বরফ জল নিয়ে দেখো.. তুমি ভালোবেসে দেখো গোলাপ ফোটাবে এসে ধূসর মথ গ্রাফিতি মাখবে গায়ে যুদ্ধরথ জোনাকির মত হয়ে উড়ে যাবে হিংসামেঘ... যদি ছুঁয়ে দেখো প্রতি স্পর্শে সেরে ওঠে কুষ্ঠরোগ প্রতি আদরে ভরে ওঠে আমার চোখ পারমাণবিক প্রেম হয়ে ছুঁয়ে নিও আলোর বেগ... যদি খোঁজো শহরের হাড়গোড়ে বনের ফুল ফ্ল্যাটবাড়ি-ভিতের নীচে বটের মূল বহু পছন্দে মেশা হাজার ভুল মাশুল কি? তবু দেখো পিয়ন বিলিয়ে যায় রঙিন খাম প্রেমের শহরে ভেজে বৃদ্ধ ট্রাম আর অচেনা গলির মুখে চেনা গন্ধের অর্থ কি? আর এভাবেই দিয়ে যেও অনেক সুর গিটারের তারে তারে খানিক দূর শহরের মোড়ে মোড়ে ট্রাফিক লাল শীতে জড়িয়ে নিও পুরোনো শাল শুধু অভাগা প্রেমিক খোঁজে তোমার মন অর্থহীন...

এনকাউন্টার

Image
আদিবাসী।  জঙ্গলমহল। ছোটনাগপুর মালভূমি অঞ্চল। খনিজ পদার্থ।  শিল্প। উচ্ছেদ।  খুন। ধর্ষণ। মাওবাদী। দেশের শত্রু। এনকাউণ্টার। ক্ষমতা। অর্থ।  রাজনীতি। খুন।ধর্ষণ।খুনের বদলা খুন।  মেরা ভারত মহান। জয় হিন্দ। ওম শান্তি ,শান্তি ওম। 

প্রত্যাখান

Image
কিছু কিছু কথা কানে লেগে থাকে। কিছু টুকরো টুকরো সুর, খাপছাড়া কিছু কর্ড অথবা গানে ভেসে ওঠা 'দিল কা কুছ দর্দ' আলতো করে চোখ ভিজিয়ে রাখে। তীব্রভাবে বেঁচে থাকতে পারো। অথবা, নিজের অস্তিত্ব নিঃশব্দ চিৎকারে সময়ের চাদরে ঢাকা পুরোনো মাজারে বাসী ফুল ভেবে নিজেকে পচিয়ে মারো। চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিও ভুলগুলো। আত্মহত্যা করতে চাই তোমার চুমুর বিষে। পচনশীল ভালোবাসা বিশুদ্ধ হোক আদিমতায় মিশে, হাতছানিতে বাঁশি বাজিয়ে তুমি,নিরামিষাশী হুলো। দুঃখবিলাসী প্রত্যাখ্যান করেছিলে আমাকে,প্রত্যক্ষভাবে দেবী, হাতছানিতে সারা ঠিকই দেবো।হঠকারিতা আমার স্বভাবে।

অসংলগ্ন কথাবার্তা

Image
চোখভরা প্রেম নিয়ে খুব ভোরে এসো বুকভরা নুনজল দেখে ভালোবেসো আলোকিত করোটির চোখে ছায়াপথ প্রেমের রেশম বোনে একলা দুটি মথ আদুরে বেড়াল হয়ে গুটিয়ে তুলোর বল আঙুলের ডগা ভিজে স্বাতী নক্ষত্রের জল.. মুক্তো হয়ে ফুটে ওঠে খুব প্রিয় টিউমার বেসুরে সুর বাঁধে আধো আধো টিউনার আলোকিত ছায়াপথ ধুলোমাখা মাঠ ক্লান্ত শরীর খোঁজে আলতো নরম খাট প্রেমভাঙা চোখ মুছে বেলোয়ারী চুড়ি গোলাপের পাপড়ি হাতে নিজের কবর খুঁড়ি... রঙিন বালির নীচে সাদাটে হৃদয় পুঁতে রাখা প্রেমের মাংসের গায়ে, ম্যারিনেট মশলা মাখা।

বালিয়াড়ির পাঁচকাহন

১  হাজার ভূমিকম্প বুকের জমির নীচে চাপা পড়ে থাকে বালিয়াড়ি ছুঁয়ে কেউ টের পেতে পারে তাকে? ২ অন্ধকার নদীতীরে হেঁটে যাই বহুদূর,বহুকাল... বালিয়াড়ির বক পোকা খুঁজে খায়। দূরে সূর্য রক্তলাল। ৩ বালিয়াড়িতে পাওয়া সমস্ত দাগ ধুয়ে ফেলেছি নদীর জলে। বহুদিন যাইনি মনপাড়ায়। এখনো বোবা স্ট্যাচুগুলো কথা বলে? ৪ আবার দাঙ্গা এলে মানুষ সস্তা হবে। নরম হবে নারী মাংস ও দেহ। ঠিক যেমন, বন্যার আগে ইলিশ সস্তা। বালিয়াড়ির আবর্জনা স্নেহ... ৫ বন্যার আবর্জনা ধরে বহু পুরোনো এ বালিয়াড়ি।আবর্জনা? ঠিক হৃদয়ের মত। কিংবা, যেন মা-এর ব্যবহৃত ছেঁড়া শাড়ি। অন্য কিছু না। ~Wrichik Ash©

নববর্ষের আগে (২য় পর্ব)

Image
** ধর্ষণ হয়েছে। ধর্ষকদের সাপোর্ট করে মিছিল, মিছিলে মন্ত্রীদের উপস্থিতিও হয়েছে। ধর্ষণে রঙ লাগানো ও হয়েছে। ধর্মও টানা হয়েছে ধর্ষিতা ও ধর্ষকের- এমনকি ধর্ষকের সমর্থনে হওয়া সেই মিছিলে " জয় শ্রী রাম" ও "ভারতমাতা কি জয়" শ্লোগান ও উঠেছে। কাথুয়া। তবে, বিচার চলছে। উন্নাওতে ধর্ষিতার বাবা প্রতিবাদ করায় তাঁকে জেলে ভরে পিটিয়ে খুন করা হয়। ঘটনাগুলো আমরা জানতে পারছি, কারন এগুলো মিডিয়া তে ভেসে উঠেছে,তাই। আমাদের দেশে এরকম ধর্ষণ প্রতি ঘণ্টায় মোটামুটিভাবে ৫ টা করে হয় (সরকারী হিসেব,NCRB-র তথ্য অনুসারে,২০১৬/২০১৭)। আসল সংখ্যা আরও বেশি। বিচার হয় মাত্র ২৭% কেস এর। বাকিগুলো? স্রেফ ধামাচাপা পড়ে যায়। *** হ্যাঁ, যে গল্পটা বলছিলাম। আপনার মেয়ে স্কুল এ যায়, আর একটু বড় হলে কলেজ যাবে, কর্মক্ষেত্রে কাজ করবে। আপনার স্ত্রী দোকানে যাবে, বা মলে, বা কোন কাজে বাইরে বেরোবে। আপনার মা সকাল বিকাল হাঁটতে বেরবেন। আপনি কিছুতেই শান্তি পাবেন না। মেরুদণ্ডে ঠাণ্ডা স্রোত, উচ্চ রক্তচাপ। ভয় পাবেন না, এটা "আচ্ছে দিন"। **** কামদুনি থেকে কাথুয়া। দিল্লি থেকে উন্নাও। মেয়েগুলোর ধর্ম অনুসারে পার

নববর্ষের আগে

Image
৩০ চৈত্র, ১৪২৪ 14th April, 2018 * "সব ভালো যার শেষ ভালো" কিন্তু শেষটা কি আদৌ ভালো হল? আমরা চৈত্র সেল এ চুটিয়ে কেনাকাটা করলাম, দারুন খাবার খেলাম, মুভি দেখলাম, বিকেলের দিকে বা সন্ধ্যেতে ঝড়-বৃষ্টি হল, কেকেআর এর ম্যাচ হল, তারপর ঠাণ্ডা ওয়েদারে ফ্যান চালিয়ে চাদর টেনে ঘুম দিলাম। হ্যাঁ,এক দিক দিয়ে, এটা খুব একটা খারাপ ও গেলনা। এইবার, রাত্রে, খেতে বসে, আপনার চোখ যাবে টেবিলের অপর প্রান্তে, যেখানে আপনার বাড়ির বাচ্চাটা খেতে বসেছে।তার পাশে আপনার স্ত্রী, মেয়ে, কিংবা অন্য মহিলা সদস্য যার বয়স দুবছর থেকে একশ বছর যত খুশি হতে পারে।এবার বুকে হাত দিয়ে বলুন তো, ভয় হলনা? একটা রাগ-মিশ্রিত ভয়ের ঠাণ্ডা স্রোত কি মেরুদণ্ড বেয়ে নামলো না? না নামলে, হয় আপনি বিক্রিত বা বিকৃতমনষ্ক, অথবা অজ্ঞ। ** (ক্রমশ...)

সান্ধ্যরাগিণী

(এপ্রিল 18,2017) আবার একদিন বৃষ্টি হবে তোর আমার ব্যস্ত শহরে আবার আমরা হাঁটব হাত ধরে ঠিক যেমনটি করতাম। হ্যা,তুই হাত ধরে হাঁটছিলি ঠিকই তবে,আমার নয়,আমি তো দূরে দাঁড়িয়ে তখন আমার বুকের ভিতর ঝুপ ঝুপ করে ভেঙ্গে পড়ছিল নদীর পাড়, আর সেই নদীর পাড়ে দাঁড়িয়েছিল সেই অন্ধ গায়ক যে হাজার ইচ্ছা সত্বেও কোনোদিন কোজাগরী জ্যোৎস্নার ধারনা পাবে না আর। শহরতলিতে সন্ধ্যে নামছে এখন আলোদের পিয়নে, হলদে ভেপার আর লালচে নিয়নে একাকিত্বের বেহাগ সুর বাজাচ্ছে সন্ধ্যাতারা, সবকিছুই মিশিয়ে দিয়েছে সন্ধ্যার তরল অন্ধকার কারন,অন্ধকারে ছায়ারাও অদৃশ্য হয়ে যায়- আর তুই তো এখন, বৃষ্টিদিনের ভেজা হাওয়া ছাড়া কিছুই নয়। **

রাত্রি

(এপ্রিল ৮,2017) তরল অন্ধকারে মুখ ঢেকে যায় গরলসম গড়িয়ে নামে তা, আকাশের গায়ে হলদে রঙের চাঁদ রাত্রি,তুই থেমে থাকিস না। রাত্রি,তুই তো একলা না, একাকিত্ব তো আমার। তোর তো আছে হলদে ল্যাম্পপোস্ট,চাঁদ জ্ঞানবৃদ্ধ পেঁচা আর ছেঁড়া গীটারের তার। রাত্রি,তুই তো মনচাষির খামার রাত্রি,তুই আমার,শুধু আমার। ***

হেয়ারস্টাইল

(৩রা এপ্রিল, ২০১৭)  - বাবা, তোমার এই হেয়ারস্টাইলটা ভালো না। এবারে অন্য কোনো স্টাইল এ চুল কেটো। - আচ্ছা রে সোনা, কদিন যাক, করা যাবে তারপর। এখন একটুও সময় নেই হাতে। - যাও তো, তোমায় করতে হবে না। তোমার খালি কাজ আর কাজ। ( কয়েক বছর পর ) - বাবা তোমার সব চুল কোথায় গেল? অত সুন্দর লালচে নরম চুল? - মনে আছে সোনা, তুই সেই একবার বলেছিলি আমার হেয়ারস্টাইলটা ভালো না...এবারে ডাক্তারকাকুগুলো তাই এমন ওষুধ দিয়েছে, দেখ না কি দারুন শান্তনু মৈত্র হেয়ারস্টাইল হয়ে গেছে।খুব খারাপ ও লাগছি না, কি বলিস? সানগ্লাস লাগালে পুরো গোঁফছাড়া রজনিকান্ত...হা হা হা। - বাবা... - হ্যাঁ রে সোনা। আচ্ছা তোর মা কি বলবে এই স্টাইলটা দেখে? কেমো চললে অন্য কোন স্টাইল করা যাবে না তো ...আচ্ছা পরের বার পাক্কা তোদের পছন্দের হেয়ারস্টাইল করব, প্রমিস।

মুখবন্ধ (কেন যে এটা বলে, জানি না। মুখ তো খোলা শুরু করব এর পর থেকেই)

Image
মোটামুটিভাবে প্রায় প্রতিটা বাঙালি, জীবনের একটা পর্বে এসে কবিতা লিখতে শুরু করে। আসলে আমরা রবি ঠাকুর-নজরুলের জাত, আমাদের রক্তে সাহিত্য। কিশোর বয়সে, ব্রণ ওঠার সঙ্গে সঙ্গে কবিতাও ফুটে বেরোয়। সদ্য প্রেমে পড়লে, বা প্রেমে দাগা খেলে, বৃষ্টি এলে কবিতা আসে না বা কবিতা না আসুক নিদেনপক্ষে কবি কবি ভাব- ছন্দের অভাব এই মনোভাব ফুটে ওঠে না, এরকম বাঙালি নেই। আমারও সেই দশা হয়েছিল। সদ্য কৈশোর, সেই যে হিসু পাওয়ার মত কবিতায় পেল, এখনও ছাড়েনি। এখন কৈশোরাবস্থা গতপ্রায়। কিন্তু লেখার নেশা টা রয়েই গেছে। তবে লেখার থেকে পড়ার নেশাটা বেশি। এখন এটা মনে হয়, যে উৎসাহ ও নেশা নিয়ে সাহিত্য পড়ি, বা নিজের বিষয়ের বাইরের বই পড়ি, সেই উৎসাহ ও নেশা নিয়ে নিজের বই পড়লে কি করে ফেলতাম নিজেরই কল্পনার বাইরে। আগে লিখতাম খাতায় কলমে, এখন সময় বদলেছে, কবি ডিজিটাল হয়েছেন, কীবোর্ড ছাড়া তাঁর নাকি সাহিত্য আসে না।কবি কি ছিলেন কি হয়েছেন তা যারা যারা আমায় দেখেছে বা চেনে তারা প্রত্যেকেই জানে যদিও। বয়সের তুলনায় পক্ক, দেড়েল স্ফিতকায় এক কিশোর আমি, খুব একটা পাল্টাইনি, খালি শিক্ষাগত যোগ্যতা (সুশিক্ষা/ কুশিক্ষা দুদিকেই) আর সম্পর্কে বেজায় সিরিয়াস হ