খিস্তিচরিত-তৃতীয় কিস্তি
একজন বাঙ্গালির রক্তের যদি আমরা বিশ্লেষণ করি, আমরা প্লাজমা, রক্তকণিকা ও অন্যান্য বায়োলজিক্যাল ও কেমিক্যাল পদার্থ ছাড়াও আরও যে সমস্ত জিনিস দেখতে পাবো, সেগুলো হল, ফুটবল, মোহন-ইস্ট ও ঘটি-বাঙ্গাল কাজিয়া, ল্যাধ, মাছ, ফুচকা, আড্ডা ইত্যাদি। ও হ্যাঁ, আর একটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জিনিস বাদ গেল, সেটা হল খিস্তি। একজন বাঙালি মোটামুটি ভাবে জন্মের আগে থেকেই খিস্তি জানে। মনে করা হয় যে বাঙ্গালিদের ২১ নং ক্রোমোজোমের এক অংশে এই খিস্তির জন্য জিন বিদ্যমান (এ ব্যাপারে রিসার্চ চলছে, সঠিকভাবে জানা যায়নি কিছু, আরও তথ্যের জন্য এ ব্যাপারে বিশেষ কয়েকজন বৈজ্ঞানিক এর সঙ্গে যোগাযোগ করলে ভালো হয়, আমায় ফেসবুকে মেসেজ করলে আমি তাঁদের হদিস দেব)। যদিও, পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, আমাদের মত বাঙালি মধ্যবিত্ত পরিবারের ক্ষেত্রে, এই বাংলা খিস্তির জিনটি কর্মক্ষম হয় একজন বাঙালি বাচ্চা কথা বলতে শেখার কয়েক সপ্তাহ থেকে কয়েক মাসের মধ্যেই। তারপর, বাবা মা-র পিটুনির ভয়ে ধীরে ধীরে কমে আসে, তারপর আবার দেহে চুলের পরিমাণ বৃদ্ধির সাথে সাথে খিস্তি ব্যবহারের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়, ও অবশেষে সম্পৃক্ত হয়ে যায়। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, চুল এর হিন্দি প্রতি...

Comments
Post a Comment