খিস্তিচরিত-চার কিস্তিতে
আজ একটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তথা গুরুগম্ভীর বিষয় নিয়ে লিখব,তা হল বাংলা খিস্তি।
যেকোনো ভাষাতেই,খিস্তি এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সাধারণ মানুষের মনের ভাব প্রকাশ করার অন্যতম মাধ্যম এই খিস্তি। কিন্তু,আজ, বাংলা খিস্তি খাদের মুখে এসে দাঁড়িয়েছে।এর মূল কারণ হিসেবে, বলা যায়, প্রথমত আমরা খুব বেশি ভাবে পশ্চিমি সংস্কৃতি কে অনুকরণ করি। ইংরিজি সিনিমা দেখি,আর সেখানে ব্যবহৃত ফাক ইত্যাদি দারুন ফাট নিয়ে বলি, আর দ্বিতীয় মূল কারণ, সময়ের অভাবে। বাংলা খিস্তি একটি শিল্প, খুবই ডেলিকেট, একটু সময় নিয়ে বলতে হয়। যেমন, দুর্শালা গাঁড় মেরেছে বলতে যা সময় লাগে, ফাক বললে অর্থ মোটামুটিভাবে একই, কিন্তু অনেক কম সময়ের মধ্যে কাজ মেটে। এভাবে, ধীরে ধীরে, বাংলাভাষার এক অমূল্য সম্পদ বর্তমানে বিলুপ্তির পথে এগিয়ে যাচ্ছে।
তাই, এই সম্পদ কে বাঁচিয়ে রাখতে ও মুলস্রোতে ফিরিয়ে আনতে, আমাদের এই বিষয়ে সচেতন করে তোলার উদ্দেশ্যে, আমার এই প্রচেষ্টা,"খিস্তিচরিত- চার কিস্তিতে"।
আজ,প্রথম কিস্তি।
আমি মূলত চারটি বহুল প্রচলিত খিস্তি নিয়ে আলোচনা করে বিষয়টি উপস্থাপিত করার চেষ্টা করছি।
প্রথম যে খিস্তি নিয়ে বলব, সেটি খুব নরম,দুধভাতের মত, মিষ্টি একটি খিস্তি।গান্ডু।
এর উৎপত্তি-ব্যুৎপত্তি সহজে জানা যায় না,তবে মনে করা হয় যে ধৃতরাষ্ট্র নাকি গান্ধারী কে আদর করে গান্ডু বলে ডাকতেন, এটা তাঁদের ফেসবুক চ্যাট থেকে পাওয়া যায় (আজ্ঞে হ্যাঁ, মহাভারতের কালেও ফেসবুক ছিল। ইন্টারনেট ছিল আর ফেসবুক থাকবে না তা হয় নাকি?)। তিনি স্বামী অন্ধ বলে নিজের চোখে পট্টি বেঁধে অন্ধ সেজেছিলেন। যাঁরা এই ধরণের বোকাচোদামো করেন তাঁদেরকেই আদর করে গান্ডু বলা যায়। অবশ্য, তিনি একশ সন্তানের জন্ম দিয়ে প্রমান করেছিলেন,যে গান্ডু হলেও লোকজন খুবই কাজের হতে পারে।
আবার,বলা হয়, যে বা যেসব ব্যক্তি গভীর পকেট ওয়ালা আন্ডু অর্থাৎ আন্ডারওয়ার পরেন তাঁদেরকেও সম্মান দিয়ে অনেক সময় গান্ডু বলা হয়।
ব্যবহার:
1. মৌলিক ব্যবহার-
কিরে গান্ডু, কি খবর(সম্বোধনার্থে)
গান্ডুসোনা, এইভাবে করো কাজটা (স্নেহার্থে)
2. যৌগিক ব্যবহার-
গান্ডুচোদা,দেখে করতে কি হয়?
ইত্যাদি।
এছাড়াও আরো অনেকরকম ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়।
(তথ্যসূত্র- 1.হযবরল, হইচই; 2. গান্ডুচরিত্র, গাঁড়চিল প্রকাশন)
ক্রমশ...
যেকোনো ভাষাতেই,খিস্তি এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সাধারণ মানুষের মনের ভাব প্রকাশ করার অন্যতম মাধ্যম এই খিস্তি। কিন্তু,আজ, বাংলা খিস্তি খাদের মুখে এসে দাঁড়িয়েছে।এর মূল কারণ হিসেবে, বলা যায়, প্রথমত আমরা খুব বেশি ভাবে পশ্চিমি সংস্কৃতি কে অনুকরণ করি। ইংরিজি সিনিমা দেখি,আর সেখানে ব্যবহৃত ফাক ইত্যাদি দারুন ফাট নিয়ে বলি, আর দ্বিতীয় মূল কারণ, সময়ের অভাবে। বাংলা খিস্তি একটি শিল্প, খুবই ডেলিকেট, একটু সময় নিয়ে বলতে হয়। যেমন, দুর্শালা গাঁড় মেরেছে বলতে যা সময় লাগে, ফাক বললে অর্থ মোটামুটিভাবে একই, কিন্তু অনেক কম সময়ের মধ্যে কাজ মেটে। এভাবে, ধীরে ধীরে, বাংলাভাষার এক অমূল্য সম্পদ বর্তমানে বিলুপ্তির পথে এগিয়ে যাচ্ছে।
তাই, এই সম্পদ কে বাঁচিয়ে রাখতে ও মুলস্রোতে ফিরিয়ে আনতে, আমাদের এই বিষয়ে সচেতন করে তোলার উদ্দেশ্যে, আমার এই প্রচেষ্টা,"খিস্তিচরিত- চার কিস্তিতে"।
আজ,প্রথম কিস্তি।
আমি মূলত চারটি বহুল প্রচলিত খিস্তি নিয়ে আলোচনা করে বিষয়টি উপস্থাপিত করার চেষ্টা করছি।
প্রথম যে খিস্তি নিয়ে বলব, সেটি খুব নরম,দুধভাতের মত, মিষ্টি একটি খিস্তি।গান্ডু।
এর উৎপত্তি-ব্যুৎপত্তি সহজে জানা যায় না,তবে মনে করা হয় যে ধৃতরাষ্ট্র নাকি গান্ধারী কে আদর করে গান্ডু বলে ডাকতেন, এটা তাঁদের ফেসবুক চ্যাট থেকে পাওয়া যায় (আজ্ঞে হ্যাঁ, মহাভারতের কালেও ফেসবুক ছিল। ইন্টারনেট ছিল আর ফেসবুক থাকবে না তা হয় নাকি?)। তিনি স্বামী অন্ধ বলে নিজের চোখে পট্টি বেঁধে অন্ধ সেজেছিলেন। যাঁরা এই ধরণের বোকাচোদামো করেন তাঁদেরকেই আদর করে গান্ডু বলা যায়। অবশ্য, তিনি একশ সন্তানের জন্ম দিয়ে প্রমান করেছিলেন,যে গান্ডু হলেও লোকজন খুবই কাজের হতে পারে।
আবার,বলা হয়, যে বা যেসব ব্যক্তি গভীর পকেট ওয়ালা আন্ডু অর্থাৎ আন্ডারওয়ার পরেন তাঁদেরকেও সম্মান দিয়ে অনেক সময় গান্ডু বলা হয়।
ব্যবহার:
1. মৌলিক ব্যবহার-
কিরে গান্ডু, কি খবর(সম্বোধনার্থে)
গান্ডুসোনা, এইভাবে করো কাজটা (স্নেহার্থে)
2. যৌগিক ব্যবহার-
গান্ডুচোদা,দেখে করতে কি হয়?
ইত্যাদি।
এছাড়াও আরো অনেকরকম ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়।
(তথ্যসূত্র- 1.হযবরল, হইচই; 2. গান্ডুচরিত্র, গাঁড়চিল প্রকাশন)
ক্রমশ...

Darun....darun...����������������
ReplyDeleteThanks vai😘😂
ReplyDeleteGood🤘😉
ReplyDeleteBah bhlo...and innovative laglo...😍✌✌
ReplyDelete